সর্বশেষ আপটেড

একজন মুসলিম হিসেবে মহান আল্লাহর বিধান মেনে চলার পদ্ধতি

কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বাের্ড (এনসিটিবি) কর্তৃক প্রণয়নকৃত ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ২০২১ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যসূচির আলােকে নির্ধারিত গ্রিড অনুযায়ী ১৪তম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। সপ্তম শ্রেণি ১৪তম সপ্তাহের ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট এর সমাধান/ উত্তর- নিবন্ধ লিখন: (সর্বোচ্চ ২৫০ শব্দ) বিষয়বস্তু: একজন মুসলিম হিসেবে মহান আল্লাহর বিধান মেনে চলার পদ্ধতি (উৎস: সূরা বাকারার ৫ম রুকু-র নির্দেশনা অনুসরণ)।

সপ্তম শ্রেণি ১৪তম সপ্তাহের ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট

বিষয়: ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা, অ্যাসাইনমেন্ট নম্বর: ০৩

অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ:

নিবন্ধ লিখন: (সর্বোচ্চ ২৫০ শব্দ) একজন মুসলিম হিসেবে মহান আল্লাহর বিধান মেনে চলার পদ্ধতি (উৎস: সূরা বাকারার ৫ম রুকু-র নির্দেশনা অনুসরণ।)

নির্দেশনা (সংকেত/ধাপ/পরিধি):

  • পবিত্র কুর’আনুল কারীমের যে কোনাে ব্যাখ্যাগ্রন্থ (তাফসীর) থেকে সূরা বাকারার ৫ম রুকুর সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যার সহযােগিতা নিতে হবে
  • ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রয়ােজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা যেতে পারে।
  • প্রয়ােজনে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ‘ সাথে আলােচনা করে এর যথার্থ সমাধান করবে।
  • কোনাে তথ্য উৎস থেকে অবিকল (হুবহু) কোনাে তথ্য লিখে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেওয়া যাবে না।
  • অ্যাসাইনমেন্ট অবশ্যই নিজ হাতে লিখে জমা দিতে হবে।

আল্লাহ তাআলা মানবজাতির জন্য যেসব ইসলামী বিধান প্রণয়ন করেছেন, তা উভয় জগতে কল্যাণের বার্তা সুনিশ্চিত করে। ইসলামের বিধান পালনে ব্যক্তি যেমন পরকালে চিরস্থায়ী সুখের নীড়ে থাকবে, তেমনি দুনিয়ায়ও পাবে সর্বাধিক মঙ্গল। ইসলাম সব বিষয়ে মানুষের কল্যাণ অবধারিত করেছে। কল্যাণ নিশ্চিত করে না, ইসলাম ধর্মে এমন কোনো বিধি-বিধান মানুষের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়নি। সব বিধি-বিধানেই আছে কল্যাণ। ইসলামী শরিয়াহর প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে, সমাজে কল্যাণ বা ফালাহ প্রতিষ্ঠা এবং অকল্যাণ প্রতিরোধ করা। মানবতার কল্যাণ সাধন করা হচ্ছে শরিয়াহর উদ্দেশ্য।

শরিয়াহর উদ্দেশ্য সম্পর্কে ইমাম গাজ্জালী বলেন, শরিয়াহর গূঢ় উদ্দেশ্য হচ্ছে, জনগণের কল্যাণ সাধনের মাধ্যমে তাদের আকিদা বিশ্বাস, জীবন, বুদ্ধিবৃত্তি, সন্তান-সন্ততি ও সম্পদের সংরক্ষণ করা। যা কিছু এই পাঁচ বিষয় সংরক্ষণের নিশ্চয়তা বিধান করে তাই জনস্বার্থ বলে গণ্য এবং বিষয়টি কাম্য। ইবনুল কাইয়ুম বলেন, ‘শরিয়াহর ভিত্তি হচ্ছে, মানুষের প্রজ্ঞা এবং দুনিয়া ও আখিরাতে জনগণের কল্যাণ সাধন। আর কল্যাণ নিহিত রয়েছে সার্বিক আদল, দয়া-মমতা, কল্যাণকামিতা ও প্রজ্ঞার মধ্যে।’ইসলামী শরিয়াহ আল্লাহ প্রদত্ত। এটি গোটা বিশ্ব মানবতার জন্য। ইসলামী শরিয়াহ প্রগতিশীল। কালের আবর্তনে উদ্ভূত সব সমস্যা সমাধানের জন্য কোরআন ও সুন্নাহভিত্তিক চিন্তা-গবেষণার সুনির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে। কোরআন, সুন্নাহ, ইজমা, কিয়াস—এই চারটি পদ্ধতি হলো ইসলামী শরিয়াহর মৌলিক উৎস।

ইসলামী শরিয়াহ পালনে রয়েছে মানুষের জন্য কল্যাণ—এ কল্যাণ সুবিদিত। ইসলামের শাশ্বত সৌন্দর্য মানুষের মধ্যে স্পষ্ট হচ্ছে প্রতিনিয়ত আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿إِنِ ٱلۡحُكۡمُ إِلَّا لِلَّهِ ٤٠﴾ [يوسف: ٤٠]

“হুকুম বা বিধান একমাত্র আল্লাহরই”। [সূরা ইউসুফ, আয়াত: ৪০] তিনি আরও বলেন,

﴿ أَفَحُكۡمَ ٱلۡجَٰهِلِيَّةِ يَبۡغُونَۚ وَمَنۡ أَحۡسَنُ مِنَ ٱللَّهِ حُكۡمٗا لِّقَوۡمٖ يُوقِنُونَ ٥٠ ﴾ [المائ‍دة: ٥٠]

“তারা কি তবে জাহেলিয়াতের বিধান চায়? দৃঢ়-বিশ্বাসীগণের জন্য আল্লাহর চেয়ে উত্তম বিধানদাতা আর কে হতে পারে?” [সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত: ৫০]

আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “আল্লাহই হলেন বিধান-দাতা, আর তাঁর নিকট থেকেই বিধান নিতে হবে”।
কুরআন ও হাদীসের এত সুস্পষ্ট ঘোষণা থাকার পরও অধিকাংশ মুসলিম ব্যাপারটির গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারে না, শয়তান তাদেরকে বিভিন্নভাবে তা উপলব্ধি করতে দেয় না। কারণ, সে মানুষকে দু’ভাবে প্রতারিত করে হক পথ থেকে দুরে সরিয়ে রাখে:

১. কু-প্রবৃত্তিতে নিপতিত করার মাধ্যমে।
২. সন্দেহে নিপতিত করার মাধ্যমে।

তন্মধ্যে প্রথমোক্ত শয়তানি চালের বিপরীতে যা মানুষকে রক্ষা করতে পারে তা হলো, এতদসংক্রান্ত শরী‘আতের হুকুম সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা দেওয়া এবং আল্লাহর নাফরমানীর শাস্তির ভয় দেখানো। আর দ্বিতীয় যে অস্ত্রটি শয়তান ব্যবহার করে তার একমাত্র রক্ষা করার উপায় হচ্ছে, সে সমস্ত সন্দেহের অপনোদন যা তাকে হক পথ থেকে দূরে সরিয়ে রাখেএকজন মুসলিম হিসেবে মহান আল্লাহর বিধান মেনে চলার পদ্ধতি।

একজন মুসলিম হিসেবে মহান আল্লাহর বিধান মেনে চলার পদ্ধতি

এ বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের দাবি রাখলেও দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বাংলা ভাষাভাষী অনেকেই এ সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখেন না। তাদেরকে আল্লাহর বিধান মানা বা না মানা সংক্রান্ত সঠিক দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্যেই আমার এ ক্ষুদ্র প্রয়াস। আল্লাহ আমার এ প্রয়াসকে কবুল করার মাধ্যমে যদি আমার জাতিকে ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলামী বিধান বাস্তবায়নের তাওফীক প্রদান করেন, তবেই আমার প্রচেষ্টা সার্থক হবে।আমরা নিজেদেরকে মুসলিম দাবি করে থাকি, অথচ যখনই ইসলামী বিধান ও আল্লাহর হুকুম-আহকাম বাস্তবায়নের কথা আসে তখনই আমাদের মত ও পথ বিভিন্ন হয়ে যায়। এর কারণ হিসেবে আমরা বেশ কয়েকটি দিক চিহ্নিত করতে পারি।

১. ইসলামী আইন বাস্তবায়নের হুকুম কী তা না জানা।
২. ইসলামী আইন বাস্তবায়নের হুকুম কী তা জানা সত্ত্বেও কতিপয় সন্দেহ আমাদের মনে দানা বেঁধে থাকে, যা আমাদেরকে তা বাস্তবায়নের পথে বাধা দেয়।

আরেক ধরনের লোক আছে যারা জানে যে, ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন-ব্যবস্থা, কিন্তু তারা জানে না যে, ইসলামী আইন বাস্তবায়নের হুকুম কী? তাদের অনেকেই মনে করে যে, ইসলামী আইন গতানুগতিক আইনের মত। এর বাস্তবায়নের বিরোধিতা করলে তাদের ঈমানের কোনো ক্ষতি হবে না। তারা ইসলামকে নিছক কিছু কর্মকাণ্ডের মধ্যে সীমাবদ্ধ মনে করে থাকে। এ সমস্ত লোকদের জন্য যা প্রয়োজন তা হলো, ইসলামী আইনের বাস্তবায়নের হুকুম সম্পর্কে অবগত হওয়া। কেননা তাদের অনেকেই জানেনা যে, ইসলামী আইন বাস্তবায়ন না করা কুফুরী, যা ঈমান নষ্ট করে দেয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَمَن لَّمۡ يَحۡكُم بِمَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ فَأُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡكَٰفِرُونَ ٤٤﴾ [المائ‍دة: ٤٤]

“আর যারা আল্লাহর অবতীর্ণ আইন অনুসারে বিচারকার্য সম্পাদন করে না, তারা কাফির। [সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত: ৪৪]তিনি আরও বলেন,

﴿وَمَن لَّمۡ يَحۡكُم بِمَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ فَأُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلظَّٰلِمُونَ ٤٥﴾ [المائ‍دة: ٤٥]

“আর যারা আল্লাহর অবতীর্ণ আইন অনুসারে বিচারকার্য সম্পাদন করে না, তারা যালিম।” [সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত: ৪৫]আরও বলেন,

﴿وَمَن لَّمۡ يَحۡكُم بِمَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ فَأُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡفَٰسِقُونَ ٤٧﴾ [المائ‍دة: ٤٧]

“আর যারা আল্লাহর অবতীর্ণ আইন অনুসারে বিচারকার্য সম্পাদন করে না, তারা ফাসেক।” [সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত: ৪৭]বস্তুতঃ আমরা পূর্বেই উল্লেখ করেছি যে, ‘দ্বীন’ শব্দের একাধিক অর্থ রয়েছে। কুরআন মজীদে বিভিন্ন অর্থেই এ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। এক্ষেত্রে কোন্ স্থানে শব্দটি কি অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে তা পূর্ণ বাক্য থেকে বুঝা যাবে। যে বাক্যে শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে তা থেকে বিচ্ছিন্ন করে ঐ শব্দের অর্থ সঠিকভাবে বুঝার উপায় নেই। ‘দ্বীন’ শব্দের কয়েকটি অর্থ কুরআন পাকে সুস্পষ্টভাবে বুঝা যায়। যেমনঃ

১। প্রতিদান, প্রতিফল, বিনিময় ইত্যাদি।
২। আনুগত্য করা বা হুকুম মেনে চলা।
৩। আনুগত্য করার বিধান বা আনুগত্যের নিয়ম (যা ওহীর মাধ্যমে নির্ধারিত)।
৪। আইন অর্থাৎ রাষ্ট্র ব্যবস্থা যে নিয়মের অধিনে চলে, অনুরূপ সমাজ ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও ব্যবহার হয় (যা ওহীর মাধ্যমে নয় বরং মানুষের সৃষ্টি করা)।
৫। পুরস্কার অথবা শাস্তির হিসাব করা।

কুরআন পাকের বিভিন্ন আয়াত থেকে দ্বীন শব্দের উপরোক্ত অর্থ অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে বুঝা যায়। নিচে সূরা বাকারার ৫নং রুকু এর থেকে কিছু আয়াতের অর্থ দেওয়া হলো, যা দ্বারা ইসলামের বিধান হুলো সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
সূরার ৪২নং আয়াতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেছেন

وَلَا تَلْبِسُوا الْحَقَّ بِالْبَاطِلِ وَتَكْتُمُوا الْحَقَّ وَأَنْتُمْ تَعْلَمُونَ

“তোমরা সত্যকে মিথ্যা দিয়ে আড়াল করো না এবং জেনেশুনে সত্য গোপন করো না।” (২:৪২)
পন্ডিত ব্যক্তিদের যে বিষয়টি তাদের জাতি ও ধর্মকে হুমকিগ্রস্ত করে তাহলো সত্য গোপন করা কিংবা নিজেদের খেয়াল খুশীমত সত্য ও মিথ্যা বর্ণনা দেয়া। এর ফলে জনগণ অজ্ঞতা, মূর্খতা কিংবা বিভ্রান্তি ও সংশয়ের মধ্যে পড়ে। একটি জাতির পণ্ডিত ও শীর্ষ ব্যক্তিরা যেসব অপরাধ করে তার মধ্যে সবচেয়ে জঘন্য অপরাধ হলো এটি। সূরা বাকারাহ’র ৪৩ নম্বর আয়াত নিয়ে আলোচনা করা যাক। এ আয়াতে বলা হয়েছে,

وَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ وَآَتُوا الزَّكَاةَ وَارْكَعُوا مَعَ الرَّاكِعِينَ

“তোমরা নামাজ কায়েম কর, যাকাত দাও এবং রুকুকারীদের সাথে রুকু কর।” (২:৪৩) শুধু সত্যকে চেনা ও জানাই যথেষ্ট নয়। বরং আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ব্যক্তিকে কাজের লোক হতে হবে। আর সর্বোত্তম কাজ হলো আল্লাহর এবাদত এবং তার সৃষ্টির সেবা করা।
কোরআনের অধিকাংশ আয়াতে নামাজ ও যাকাতের বিষয়টি পাশাপাশি এসেছে। এর অর্থ হলো নামাজ ও এবাদতের পাশাপাশি একজন মুসলমানকে মানুষের প্রতি সেবা ও গরীবের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শন করতে হবে

[01: َتَأْمُرُونَ النَّاسَ بِالْبِرِّ وَتَنْسَوْنَ أَنْفُسَكُمْ وَأَنْتُمْ تَتْلُونَ الْكِتَابَ أَفَلَا تَعْقِلُونَ (44)

“তোমরা কি মানুষকে সৎকর্মের নির্দেশ দাও এবং নিজেরা নিজেদেরকে ভুলে যাও,অথচ তোমরা কিতাব পাঠ কর? তবুও কি তোমরা চিন্তা কর না?” (২:৪৪) সূরার ৪৫ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে-

وَاسْتَعِينُوا بِالصَّبْرِ وَالصَّلَاةِ وَإِنَّهَا لَكَبِيرَةٌ إِلَّا عَلَى الْخَاشِعِينَ 

“তোমরা ধৈর্য্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য চাও। আর নিশ্চয়ই এ কাজ বিনয়ী ও খোদাভীরু ছাড়া অন্যদের জন্য কঠিন।” (২:৪৫)
মানুষের ভেতরের কামনা-বাসনা ও বাইরের সমস্যার মোকাবেলায় মানব জীবনের সর্বোত্তম সাথী হলো দৃঢ়তা ও অবিচল থাকা। এই অবিচলতা তার মধ্যে জোগায় অফুরন্ত শক্তি। আর এই শক্তির বলে সে বিনীতভাবে আল্লাহর ইচ্ছার কাছে নিজেকে সমর্পন ও তাঁরই এবাদত করতে পারে। এই আয়াতে যে ধৈর্য্যের কথা বলা হয়েছে কিছু হাদীসে তাকে ‘রোজা’ বলে অভিহিত করা হয়েছে।

তবে রোজা কেবল ধৈর্য্য এবং সংযমের একটি রূপ। এ ছাড়াও ধৈর্য্যের পরিধি ব্যাপক ও বিস্তৃত। তাই রাসূলে খোদা (সা.) বলেছেন, “ধৈর্য্য বা সবর তিন ধরনের। একটি হলো বিপদ-আপদের সময় ধৈর্য, আরেকটি হলো পাপ কাজের ব্যাপারে ধৈর্য্য অবলম্বন এবং তৃতীয় হলো, আল্লাহর নির্দেশ ও এবাদত পালনের ক্ষেত্রে ধৈর্য ধারণ করা।

আল্লাহর বিধান যেভাবে মানতে হবে; বিধান সম্পর্কে উপরে কুরআন, হাদিস,ইজমা ও কিয়াস হতে আলোচনা করা হলো।

এটিই তোমাদের সপ্তম শ্রেণি ১৪তম সপ্তাহের ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট এর সমাধান/ উত্তর- নিবন্ধ লিখন: (সর্বোচ্চ ২৫০ শব্দ) বিষয়বস্তু: একজন মুসলিম হিসেবে মহান আল্লাহর বিধান মেনে চলার পদ্ধতি (উৎস: সূরা বাকারার ৫ম রুকু-র নির্দেশনা অনুসরণ)।

আরো দেখুন-

সকল স্তরের শিক্ষা সংক্রান্ত সঠিক তথ্য, সরকারি-বেসরকারি চাকুরি বিজ্ঞপ্তি, চাকুরির পরীক্ষা, এডমিট কার্ড, পরীক্ষার রুটিন, সরকারি বেসরকারি বৃত্তি, উপবৃত্তি ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত তথ্য সবার আগে পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজটি Follow করে রাখুন।

ইউটিউবে সর্বশেষ আপডেট পেতে বাংলা নোটিশ ডট কম এর ইউটিউব চ্যানেলটি Subscribe করে রাখুন। আপনার প্রতিষ্ঠানের যেকোন বিজ্ঞপ্তি, খবর, নোটিশ ও জাতীয় রাজনৈতিক বিষয়ে লেখা প্রকাশ করতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

৭ম শ্রেণি ১৪তম সপ্তাহে অন্যান্য বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্ট ও সমাধান

[ninja_tables id=”11673″]

আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা নোটিশ ডট কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক জনাব আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া। জন্ম ১৯৯৩ সালের ২০ নভেম্বর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়। বাবা আবদুল গফুর ভূঁইয়া এবং মা রহিমা বেগম। এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে আবদুল্লাহ আল আরিয়ান বয়স ৫ বছর। মেয়ে ফাবিহা জান্নাত বয়স ১ বছর। আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া এর শিক্ষাজীবন আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ২০১৮ সালে ম্যানেজমেন্ট এ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটি ঢাকা থেকে বিপিএড সম্পন্ন করেন। আজিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু। এরপর আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ লাকসাম উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কিছুদিন ক্লাস করার পর। পারিবারিক কারণে নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজ এ কিছুদিন রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করার পর ভালো না লাগায় পুনরায় ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ছাত্র জীবনে তিনি নানা রকম সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। কর্মজীবন কর্মজীবনের শুরুতে তিনি আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় যোগদেন। বেশ কিছুদিন পর তিনি ২০১৯ সালে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় কুয়েত পারি জমান। কিন্তু সেখানকার কাজের পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় পুনরায় আবার বাংলাদেশে ফিরে এসে পূর্বের পদে কাজে যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন। এছাড়াও তিনি স্বপ্ন গ্রাফিক্স এন্ড নেটওয়ার্ক নামে একটি মাল্টিমিডিয়া এবং প্রিন্টিং প্রেস প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারী সেই সাথে স্বপ্ন ইশকুল নামক একটি কম্পিউটার ট্রেণিং ইনস্টিটিউট এর মালিকানায় আছেন যেখানে তিনি নিজেই ক্লাস পরিচালনা করেন। লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্ম ছাত্র অবস্থায় তিনি লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্মের সাথে জড়িত আছেন। ২০১১ সালে রাইটার্স এসোসিয়েশন এর ম্যাগাজিনে তার প্রথম লেখা বন্ধু চিরন্তন প্রকাশিত হয়। এর পর তিনি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close

অ্যাডস্ ব্লকার পাওয়া গেছে!

দয়া করে আমাদের সাপোর্ট করার জন্য আপনার এডস্ ব্লকার ডিজেবল করে পেইজটি রিলোড করুন! ধন্যবাদ